• blogger
  • facebook
  • linkedin
  • twitter
  • youtube

নগর পরিকল্পনা – আমার লজ্জা, আমার অহংকার!

২০০১ সালের শেষের দিকের কথা। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। আমার অবস্থান ১৪৫০ (যতটুকু মনে পড়ে), অর্থাৎ অপেক্ষামান তালিকায়। ঐ বছর টেনেছিল প্রায় ১৩০০ পর্যন্ত, বুয়েটে চান্স পেলাম না। ভর্তি হলাম রাজশাহী বিআইটির (বর্তমান রুয়েট) কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ায়িং বিভাগে।
যাহোক, ঢিলেঢালাভাবে ক্লাস শুরু করলাম। ক্লাস শুরুর কিছুদিন পরেই ‘ওমেকা’ এবং ‘সানরাইজ’ কোচিং থেকে এজেন্টরা এসে, আমাদের রুমে ঢুকে অনুরোধ করে গেল পরবর্তী ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষার ক্লাসগুলো নেয়ার জন্য। মোদ্দা-কথায় আমি একাধারে ওমেকা, সানরাইজ, আলফা প্লাসে (রাজশাহীতে নবম-দশম শ্রেণীর কোচিং) ক্লাস নেয়া শুরু করলাম; এবং সেই সাথে আমার বাসায় এসে পড়ে যেত এমন একটি টিউশনও পেলাম। খুবই রমরমা অবস্থা!
বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ক্রিকেট খেলা আর কম্পিউটার প্রোগ্রামিঙের মারপ্যাঁচে ভালই কাটতেছিল দিনগুলো। কিন্তু মনে মনে একটা ইচ্ছা ছিল বুয়েটে পড়বার। এমতাবস্থায় আমি বাসায় না জানিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার পড়াও পড়তাম। এভাবে বাসার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি দ্বিতীয়বার ২০০২ ব্যাচের সাথে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। [২০০২ ব্যাচের পর থেকে বুয়েট দুইবার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল]। শেষমেশ বুয়েট আমাকে দুইটা অপশন দিল – হয় ‘মেটাল’ অথবা ‘নগর পরিকল্পনায় (ইউআরপি)’ পড়তে হবে! এই দুইটি বিষয়ের কোনটি নিয়েই আমার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম কিনবার পর প্রথম জেনেছিলাম যে নগর পরিকল্পনা নামে একটি সাবজেক্ট বুয়েটে আছে।
সৌভাগ্যবশত ২০০১ ব্যাচের আমার এক বন্ধু বুয়েট নগর পরিকল্পনায় পড়তো। তার সাথে পরামর্শ করলাম। ও বলল, নগর পরিকল্পনায় ভর্তি হতে। আমাকে ও নোটস দিয়ে সহায়তা করতে পারবে, এই আশ্বাসে আমি বুয়েট নগর পরিকল্পনায় ভর্তি হওয়ার প্রাক-সিদ্ধান্ত নিলাম!!
ইতোমধ্যে আমি রুয়েটের ২-১ এ উঠে গেছি। এক বছরেরও অধিক সময় নষ্ট করে বুয়েটের নগর পরিকল্পনায় আমার পড়ার সিদ্ধান্তকে কেউই স্বাগত জানালো না। খুবই কঠিন একটি সময় যাচ্ছিল আমার – রুয়েটে থাকব নাকি বুয়েটে যাব? এই কঠিন সময়ে এগিয়ে আসলেন আমার বাবা। আমাকে একটি পত্রিকা ধরিয়ে দিলেন, ওখানে প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের “Wings of Fire” বইটির একটি সারমর্ম লেখা ছিল। আমি হতাশচিত্তে “Wings of Fire” পড়া শুরু করলাম। জানলাম কিভাবে একজন সামান্য দরিদ্র কৃষকের ঘরে জন্মেও, হাজারো প্রতিকূলতা পেড়িয়ে জনাব আবদুল কালাম ভারতের শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানী হলেন এবং পরবর্তীতে হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। সে এক মহা-ইতিহাস, ঐ লেখা পড়ে আমি মহা উৎসাহে একদম একক সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে বুয়েটকেই বেছে নিলাম। শুরু হল আমার নগর পরিকল্পনায় পথচলা!!
অবশেষে; ২০০২ ব্যাচের পছন্দ-ক্রমের সর্বশেষ সাবজেক্টের সর্বশেষ ছাত্র হিসাবে (আমার রোল নম্বর ছিল -০২১৫০৪৭, আমার পরে আর কেউ ভর্তি হয় নাই) আমি বুয়েটে পদার্পণ করলাম। বুয়েটে এসে ধীরে ধীরে জানতে শিখলাম যে আমি ইঞ্জিনিয়ার নয়, বরং আমি একজন পরিকল্পনাবিদ! এমনিতেই এক বছর ড্রপ দিয়ে এসেছি, আবার বুয়েটের লাস্ট সাবজেক্টে পড়ি; তাই বেশ লজ্জা লাগত প্রথম প্রথম। একটু মাথা নিচু করেই চলতাম!
ক্লাসে আমরা ২০-২২ জন (তখনকার সময়ে বুয়েট ইউআরপিতে ৩০ জন ছাত্র ভর্তি হতো না), এর মাঝে অনেকেই দেখি চরম হতাশ। কেন নগর পরিকল্পনায় চান্স হল, কেন আরও ভাল সাবজেক্টে হল না? অনেকেই ক্লাস করা বন্ধ করে পরের বার অন্য কোথাও চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করল। কিন্তু আমার তো আর যাওয়ার কোন জায়গা নেই, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে; তাই আমি প্রথম থেকেই অনেকটা দৃঢ়তার সাথে পড়ালেখা শুরু করলাম! নগর পরিকল্পনা নিয়ে সকলের বিপরীতধর্মী কথাবার্তা একদমই কানে নিতাম না। যদিও বুয়েটের বাইরে এমনকি বুয়েটের কাউকেই ঠিকমত বুঝাতেই পারতাম না যে আমি কি পড়তেছি! খুবই বিব্রতকর এক পরিস্থিতি! বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম, তাই প্রথম প্রথম ক্লাসে এইসব কি পড়ানো হচ্ছে বুঝতাম না। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ড্রয়িং, আর্কিটেকচার ইত্যাদি – সব যেন দ্বাদশ শ্রেণির বাংলার মত মনে হত। তবুও পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা মুখস্ত করে যেতাম। আর পরীক্ষার হলে গিয়ে খাতায় লিখে দিতাম। কঠিন এক বাস্তবতা। তখনও মাথায় ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন চিন্তা আসে নাই। পরীক্ষার ফলাফল ভাল করাই ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য।
এবার আসা যাক বুয়েটের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে। বুয়েটে আসার পর দেখলাম আমার ব্যাচের ভাল সাবজেক্টের ছাত্ররা ওমেকা, সানরাইজে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্লাস নিচ্ছে। কিন্তু কোন কোচিং সেন্টার ভুলেও ইউআরপি-এর কাউকেও সুযোগ দেয় না, দেয়ার প্রশ্নই আসে না (এখন মনে হয় অবস্থার একটু পরিবর্তন হয়েছে)। যুক্তি সহজ – ইউআরপি মানেই হল অঙ্কে কাঁচা অথবা অতি-উত্তম স্টুডেন্ট নয়। তাই ভাল ভাল কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেয়া স্বপ্নই থেকে গেল আমার, যা রুয়েটে থাকতে সম্ভব ছিল। যেই ওমেকার লোকজন রুয়েট কম্পিউটারে থাকাকালীন আমার রুমে এসে ক্লাস নেয়ার জন্য অনুরোধ করত, আজ তারাই আমাকে চিনে না। আজব এক পৃথিবী। এই একই মানুষ আমি, কিন্তু বুয়েট ইউআরপিতে আসার ফলে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে গণিতে দুর্বল হিসাবে চিহ্নিত হলাম!
বুয়েট ছাত্রদের একটা ঐতিহ্য আছে – টিউশনি করানো। একদিন আমার বুয়েট কম্পিউটার বিভাগের এক বন্ধু এসে বলল যে সে একটা টিউশনি করায়; যার মাসিক বেতন ৭০০০ টাকা (এটা ২০০৪ সালের কথা বলছি)। এ কথা শুনে তো আমার মাথায় বাজ পড়ল। বলে কি? পরে জানলাম, বুয়েটের ভাল সাবজেক্টের অনেকেই এরকম ভাল বেতনের টিউশনি করায়। তো সবার দেখা-দেখি, আমিও টিউশনি করানোর আগ্রহ প্রকাশ করলাম। এখন কই পাবো এই টিউশনি? একজন আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের খবর দিল। উনি নাকি টিউশনি দেন। আমি উনার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলে দেখা করতে গেলাম। ভাইয়া শুনে বলল – আসলে সব গার্ডিয়ান ইলেক্ট্রিক্যাল কিংবা কম্পিউটারের শিক্ষক চান, আর খুব বেশি হলে সিভিল। এইসব শুনে আবারও মনটা খারাপ হয়ে গেল। ঐ ভাইয়ের কাছ থেকে খালি হাতে ফিরে আসলাম! [পরে অবশ্য উনি আমাকে একটি টিউশনি ম্যানেজ করে দিয়েছিলেন]
এর কয়েক মাস পর, আমার এক ইউআরপি বন্ধু আমাকে একটি টিউশনি দিল। মাসিক বেতন দেড় হাজার টাকা, ঢাকা কলেজের এক ছাত্রকে পড়াতে হবে; কিন্তু তার হোস্টেলে গিয়ে। আমি তাতেই রাজি হলাম। সপ্তাহে তিনদিন ঐ ছেলেকে গিয়ে পড়িয়ে আসতাম ঢাকা কলেজের হোস্টেলে গিয়ে, ওর রুমে। এই ছিল আমার বুয়েট জীবনের প্রথম টিউশনি করানো। খুবই লজ্জার বিষয়; সবাই যেখানে ৭/১০ হাজার টাকার টিউশনি করাচ্ছে, আর আমি মাত্র দেড় হাজার টাকা! কাউকে এই কথা বলি নাই। পরের টিউশনিটাও দিল আমার ঐ ইউআরপি বন্ধু, এবার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের একটি কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতে হবে; নবম শ্রেণির রসায়ন।
এভাবে দিনে দিনে বুঝলাম, কেন ইউআরপি বুয়েটের কিংবা বাংলাদেশের একটি অন্যতম শেষের দিকের সাবজেক্ট। মাঝে মাঝে খুব হতাশা কাজ করতো। ভবিষ্যৎ নিয়েও খুব চিন্তিত হতাম। ইউআরপি নিয়ে এরকম হাজারো হতাশার মাঝেও এগিয়ে চললাম। দেখতে দেখতে বুয়েটের শেষ সেমিস্টারে পৌঁছে গেলাম। ফাইনাল টার্মের পরীক্ষার সাথে সাথেই এক মোবাইল কোম্পানি এসে আমাদের ব্যাচের CSE এবং EEE-এর প্রায় ৫০-৬০ জনকে সরাসরি চাকরি দিয়ে দিল, মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা (২০০৭ সালের কথা)। আমাদের ইউআরপির কেউ চাকরি যে কি জিনিস তখনও তা জানি না। ঐ সময় অনেক সিনিয়রদেরকে দেখতাম বুয়েট শহীদ মিনারে বসে আড্ডা দিতে; অনেকেই এক থেকে দেড় বছর হয়ে গেছে- কিন্তু বেকার। এভাবে নানা অভিযোগ আর সংশয় নিয়ে ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে বুয়েট ইউআরপি (স্নাতক) জীবন শেষ করলাম।
এর ৪ মাস পর একটি প্রাইভেট প্ল্যানিং কনসালটেন্সি ফার্মে চাকরি পেলাম; মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। মন্দ নয়। তবুও মনে শান্তি নাই, বুয়েটের বন্ধুরা যেখানে ৩০ হাজার কিংবা অধিক বেতনে চাকরি করে; সেখানে মাত্র ১০ হাজার টাকা? আমার মামা একদিন এসে একটা চাকরির অফার দিলেন বেসিক ব্যাংকে – বেতন ৩০ হাজার টাকা; কিন্তু পেশা পরিবর্তন করতে হবে। বললেন বাংলাদেশে পরিকল্পনা পেশার কোন ভাত নাই! আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম; কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনাকেই আঁকড়ে ধরলাম। কোন ব্যাকআপ কিংবা যুক্তি ছিল না, শুধু আবেগের বশেই তৎকালীন উচ্চ বেতনের চাকরিটা ছেড়ে দিলাম! মন খারাপ ছিল কিছু দিন, হাজারো চিন্তায় প্ল্যানিং চাকরিটাও উপভোগ করতাম না! তবে কি সত্যি – নগর পরিকল্পনা আমার লজ্জা!!
_______________________________________________________
এর দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালে আমার PhD-এর সার্ভের জন্য দেশে আসলাম। এই ৮ বছরের মাঝে আমাদের পরিকল্পনা পেশা এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন অতীতের বুয়েট, খুলনা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি – চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েটে নগর পরিকল্পনা বিভাগ শুরু হয়েছে। চিন্তায় ছিলাম; যেই পেশা বছরে মাত্র ৯০ জন পরিকল্পনাবিদের দায়ভার গ্রহণ করতে পারতো না; এখন অতিরিক্ত এই ১২০ জন নগর পরিকল্পনাবিদের চাকরি কিভাবে জুটবে? ইংল্যান্ড থেকে আশা নিয়ে এসেছিলাম যে ২-৪ জন সদ্য পাশ করা নগর পরিকল্পনাবিদ ২-৩ মাসের জন্য পেয়েই যাবো, যারা কিনা আমার ফিল্ডওয়ার্কে সাহায্য করবে। কিন্তু কাউকেই পেলাম না; সকল পরিকল্পনাবিদ চাকরি করছেন, একজনও বেকার নেই। আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। বেশ কিছু ছাত্র এবং ছোট ভাইদেরকে ফোন দিলাম, কেউ খালি নাই। অগত্যা নিজেই নিজের ফিল্ডওয়ার্ক অতিরিক্তি সময় নিয়ে শেষ করলাম। একা একা কাজ করতে বেশ কষ্ট হল, কিন্তু বাংলাদেশের পরিকল্পনা পেশার এই ব্যাপক পরিবর্তন দেখে খুশিটাই বেশি ছিল।
মনে পরে গেল সেই অতীতের কথা – কতো অফিসে যে CV ড্রপ করেছি, কতো ভাইকে একটা ভাল চাকরির জন্য অনুরোধ করেছি; চাকরিতে মাত্র দুই হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করা নিয়ে আন্দোলন করেছি, তাও না পেয়ে হতাশ হয়ে দুই সপ্তাহ অফিস করি নাই! আর আজ তো আমাদের দিন অনেক পাল্টেছে। শুনলাম অনেকেই শুরুতেই ৫০ হাজার টাকার চাকরি পেয়েছেন; অকল্পনীয়। হ্যাঁ, পাল্টেছে – আরও পালটাবে। এর মাঝে অনেক কিছুই পেয়েছিঃ বৃত্তি নিয়ে স্পেন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, লন্ডনে পড়েছি; চাকরি করেছি জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রজেক্টে। চুয়েটে শিক্ষকতা করেছি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষক হিসাবে জয়েন করেছি যোগ্যতা দিয়ে। ও হ্যাঁ, পরবর্তীতে বুয়েটে থাকাকালীনই ৮ হাজার টাকার টিউশনিও করিয়েছি। আগে নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতাম, আর এখন আগ-বাড়িয়ে সবাইকে নিজের পরিচয় দেই। পার্থক্যটা তো এখানেই হয়েছে!
কতো যে লজ্জা, অপমান, আর ঘৃণা! কতো যে রাগ, অভিমান, আর সংশয়। সব ছাপিয়ে গিয়েছে – আজ সব পালটে গেছে। কষ্ট করেছি, চেষ্টা করেছি, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম, কারো কটূক্তির জবাব দেই নাই কখনো – দিবও না কখনো। জানি এখনো পরিকল্পনা পেশায় আরও অনেক অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে; শক্ত হাতে হাল ধরেছি – সঙ্গে আছে একদল স্বপ্নচারী – এগিয়ে আমরা যাবই!
ওরা বলেছিল – নগর পরিকল্পনা আমার লজ্জা; আমি বলি – “নগর পরিকল্পনা আমার অহংকার”!

I hold the position of Associate Professor at the Department of Risk and Disaster Reduction (RDR) at University College London (UCL). My research experience spans across disaster risk reduction (DRR), conflict and migration, climate change adaptation, genocide diplomacy, community vulnerability assessment, climate mobility, and disaster displacement. I specialise in the intersection of conflict and disaster, with a vision to improve the quality of life of displaced persons and stateless populations. I am driven by a passion for collaborating with frontline communities, aiming to understand their challenges comprehensively and develop actionable policy recommendations to meet their specific needs. My academic journey led me to earn a PhD in Disaster Risk Reduction from UCL, a joint Master of Science degree in Geospatial Technologies from universities in Spain, Germany, and Portugal, and a Bachelor of Urban and Regional Planning degree from the Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET).