• blogger
  • facebook
  • linkedin
  • twitter
  • youtube

জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) – লেকচার ২

[জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) – লেকচার ১]

[জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) – লেকচার ৩]

GIS’-এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

এখন আমরা ‘জিআইএস’ এর ইতিহাস খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে জানার চেষ্টা করব। তবে শুরুতেই বলে রাখি, ‘ইতিহাস বর্ণনা করা একটি কঠিন কাজ’। কেননা বিভিন্ন প্রকাশিত বই/ প্রবন্ধ/ সংক্ষিপ্ত রচনা/ দলিল/ অনুচ্ছেদ/ গবেষণা নিবন্ধে ‘জিআইএস’ এর ইতিহাসে কিছুটা পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাই কিছু কিছু বিষয়ে অনেকেরই দ্বিমত থাকতে পারে। তবে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব, সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে।

খুবই প্রাথমিকভাবে ‘জিআইএস’ বলতে আমরা মানচিত্রে তথ্য উপস্থাপন বুঝে থাকি। এই হিসাবে বলা যেতে পারে যে প্রায় ৩৫,০০০ হাজার বছর আগে ‘GIS’ এর সূত্রপাত। কেননা ঐ সময়কার ‘Cro-Magnon’ শিকারিরা তাদের গুহার ভিতরের দেয়ালে শিকার করা জীবজন্তুর প্রতিকৃতি, হিসাবরক্ষণের জন্য প্রতীক/ চিহ্ন (Tally), ওইসব জীবজন্তুর দৈনন্দিন চলাচল এবং দেশান্তরে গমন পথের (Migration Route) বিস্তারিত এঁকে রাখতেন। এতে করে তাদের শিকার করার সুবিধা হত। এই ধরণের ঐতিহাসিক লিপি/ চিত্রাঙ্কন থেকেই ‘জিআইএস’ ধারণার উদ্ভব (ছবি-১) বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।

ছবি-১: প্রায় ৩৫,০০০ বছর (মতান্তরে ১৭,০০০ বছর) আগের শিকারিদের আঁকা জীবজন্তু এবং তাদের দেশান্তরে ভ্রমণ পথের গুহা চিত্রাঙ্কন। স্থানঃ Lascaux গুহা, ফ্রান্স।

পরবর্তীতে অনেকেই মানচিত্রের মাধ্যমে ভৌগলিক তথ্য প্রকাশ/ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে ১৭৮১ সালে ফরাসি মানচিত্রকার ‘Louis-Alexandre Berthier’ এর অঙ্কিত ‘ইয়র্ক টাউন’ যুদ্ধের মানচিত্র অন্যতম (ছবি-২)।

এই হাতে আঁকা মানচিত্রের মাধ্যমে যুদ্ধের সময় ‘ব্রিটিশ’, ‘আমেরিকান’ এবং ‘ফরাসি’ সৈন্যদলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হত।

ছবি-২: ১৭৮১ সালে ফরাসি মানচিত্রকার ‘Louis-Alexandre Berthier’ এর অঙ্কিত ‘ইয়র্ক টাউন’ যুদ্ধের মানচিত্র।

১৮৫৪ সালে লন্ডন শহরে ‘কলেরা’ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরে। তখন ‘জন স্নো’ নামক একজন ব্রিটিশ চিকিৎসক কলেরা আক্রান্ত এলাকার তথ্যচিত্র তুলে ধরেন হাতে আঁকা একটি মানচিত্রের মাধ্যমে (ছবি-৩)। বলা হয়ে থাকে, আধুনিক যুগের ‘জিআইএস’ এর সূত্রপাত এইধরণের স্থানিক বিশ্লেষণী (Spatial Analysis) মানচিত্র থেকেই।

ছবি-৩: ১৮৫৪ সালে ‘জন স্নো’-এর আঁকা লন্ডনের আংশিক মানচিত্র। কলেরা আক্রান্ত এলাকাসমূহ গাঢ় কালো রঙে চিহ্নিত

এইভাবে বিভিন্ন সময়ে ‘হাতে আঁকা’ মানচিত্র থেকে আধুনিক যন্ত্রগণক/ কম্পিউটার-ভিত্তিক ‘জিআইএস’-এর সূত্রপাত হয় ১৯৬০-এর দশকে উত্তর-আমেরিকায়। এইবার তাহলে কম্পিউটার-ভিত্তিক আধুনিক ‘জিআইএস’-এর ইতিহাস নিয়ে কিছু কথা বলা যাকঃ

১. ১৯৬৩ সালে ‘Roger Tomlinson’ কানাডার সরকারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘Canada Geographic Information System (CGIS)’। সম্ভবত এটাই ছিল জিআইএস’-এর প্রথম এবং প্রকৃত গবেষণাগার। এইখানে ‘Tomlinson’, অন্যান্য ‘International Business Machines Corporation (IBM)’ কর্মকর্তাদের সাথে মিলিত হয়ে  ভূমি জরিপ এবং পরিসংখ্যানপত্র (Land Inventory) সংক্রান্ত অসংখ্য কম্পিউটার-সৃষ্ট মানচিত্র উদ্ভাবন/ প্রকাশ করেন। তিনি কম্পিউটারে মানচিত্র অঙ্কনের (Map Digitization) জন্য ‘ড্রাম স্ক্যানার’ (Drum Scanner) তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ‘জিআইএস’ –এর প্রচার এবং প্রসারে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অবদানের জন্য ‘Roger Tomlinson’-কে ‘জিআইএস-এর জনক’ বা ‘Father of GIS’ বলা হয়ে থাকে।

২. এরপর ১৯৬৫ সালে ‘Howard Fisher’ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Harvard Laboratory for Computer Graphics (LCG)’ প্রতিষ্ঠা করেন। এইখানে উনি এবং কতিপয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী মিলে বেশ কয়েকটি মানচিত্র প্রযুক্তির (Mapping Technology) সফ্টওয়্যার (SYMAP, CALFORM, SYMVU, GRID, POLYVRT and ODYSSEY) আমাদেরকে উপহার দেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে নানাবিধ কারণে এই কম্পিউটার গবেষণাগারটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ইহা অনস্বীকার্য যে এই পরীক্ষাগার, ‘জিআইএস’-এর উন্নয়নের জন্য, ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই উদ্যোগ ‘জিআইএস’ এর প্রসারের ক্ষেত্রে সবার মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করে।

৩. ১৯৬৬-৬৭ সালে ‘David P. Bickmore’, ইংল্যান্ডের ‘Royal College of Art’-এ মানচিত্র-নির্মানবিদ্যায় স্বয়ংক্রিয়তা (Automation of Cartography) আনার জন্য ‘Experimental Cartography Unit (ECU)’ নামে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও ‘Bickmore’ পৃথিবীর প্রথম ‘Free-Cursor Digitizer’ এবং মানচিত্র তৈরির জন্য উচ্চ স্পষ্টতা-সম্পন্ন ‘Plotting Table’ উদ্ভাবন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ‘ECU’-এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কম্পিউটারের সাহায্যে উচ্চ-গুণমানসম্পন্ন মুদ্রিত মানচিত্র উৎপাদন করা।

. পরবর্তীতে আমেরিকা সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান ‘জিআইএস’ প্রয়োগ-বিষয়ক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিচালনা করে। যেমনঃ ‘US Bureau of Census’, ‘United States Geological Survey (USGS)’, ‘Central Intelligence Agency (CIA)’, ‘US Forest Service’, ‘Fish and Wildlife Service’, ‘Department of Housing and Urban Development’ ইত্যাদি।

. ১৯৬৯ সালে ‘Jack এবং Laura Dangermond’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘Environmental Systems Research Institute (ESRI)’। এই প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে হার্ভার্ড গবেষণাগারে প্রাপ্ত কৌশল ও ধারনার উপর ভিত্তি করে। শুরুতে ‘ESRI’ একটি অ-লাভজনক ভূমি-ব্যবহার পরিকল্পনা (Land-Use Planning) ভিত্তিক পরামর্শক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে কর্মকাণ্ড আরম্ভ করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা একটি বাণিজ্যিকভাবে সফল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

‘ESRI’ ১৯৮২ সালে ‘ARC/INFO’ সফটওয়্যার দিয়ে প্রথমবারের মত ‘জিআইএস’ ব্যবসায় প্রবেশ করে। এরপর ১৯৯১ সালে ‘ArcView’ বাজারে আসে। ২০০৪ সালে ‘ArcGIS ৯’ মুক্তি পায়, যা ‘ESRI’-কে নিয়ে যায় ব্যবসায়িক সফলতার শিখরে। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘ArcGIS ১০.১’ মুক্তি পেয়েছে।

বর্তমানে বিশ্ব-বাজারে অসংখ্য বাণিজ্যিক (Commercial) এবং মুক্ত সোর্স (Open Source) ‘GIS’ সফটওয়্যার রয়েছে।  

সবশেষে বলে রাখা ভাল, ১৯৮০’র দশকের ‘জিআইএস’-এর বাস্তবিক প্রয়োগের এই উন্নয়নের ধারাকে আরও ত্বরান্বিত/বিস্তীর্ণ করেছে বাণিজ্যিকভাবে প্রাপ্য নিম্নলিখিত পণ্যসমূহঃ

১. Computer-Aided Design (CAD)

২. Database Management System (DBMS)

৩. Remote Sensing

৪. Global Positioning System (GPS) এবং

৫. সহজলভ্য Digital তথ্য।

পরবর্তীতে ইন্টারনেট প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটলে ‘জিআইএস’-এর জগতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। যেমনঃ Web-GIS, Web Mapping, Google Earth, WikiMapia, OpenStreetMap, Google Maps, Participatory GIS, Google Map Maker, Volunteered Geographic Information (VGI) ইত্যাদি।

বাংলাদেশে জিআইএস’-এর আবির্ভাব

বাংলাদেশে আধুনিক ‘জিআইএস’-এর ব্যবহার শুরু হয়েছে ১৯৯১ সালে ‘ISPAN (Irrigation Support Project for Asia and the Near East)’ নামক প্রকল্প থেকে। FAP-19 (Flood Action Plan-19) প্রকল্পের একটি অংশ ছিল ‘ISPAN’।

এইখানেই ‘জিআইএস’-এর ইতিহাস পর্বের ইতি টানছি। তবে একটা ব্যাপারে আমরা যেন বিভ্রান্ত হয়ে না যায়, আর তা হল ‘জিআইএস’ মাত্রই মানচিত্র তৈরি করা। এটি ঠিক নয়। কোন দেশ/ অঞ্চল/ এলাকার মানচিত্র অঙ্কনের ইতিহাস কিন্তু সেই ব্যাবিলনিয়া/ গ্রীক/ রোমান/ মিশরীয়/ চীনা/ আরব/ মোঘল সভ্যতা থেকেই আছে। শুধুমাত্র মানচিত্র অঙ্কন মানচিত্রনির্মানবিদ্যার (Cartography) কাজ। সাধারণ অর্থে, ভৌগলিক মানচিত্রের মাধ্যমে বিশেষ কোন তথ্য উপস্থাপন করাকেই ‘GIS’ বলে।

জিআইএস’-এর উপাদানসমূহ

‘জিআইএস’-এর প্রধান উপাদান ছয়টিঃ

১. হার্ডওয়্যার (Hardware): যন্ত্রপাতি যা ‘জিআইএস’ কার্যকলাপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- কম্পিউটার, Digitizer, Plotter ইত্যাদি।

২. সফটওয়্যার (Software): ভৌগলিক তথ্য সঞ্চয় (Storage), বিশ্লেষণ (Analysis) এবং প্রদর্শনের (Display) জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম (Tools) এবং অপেক্ষক (Functions) সরবরাহ করে থাকে।

৩. নেটওয়ার্ক (Network): ইহা ‘ডিজিটাল’ তথ্য দ্রুত আদান-প্রদান (Sharing) এবং বিতরণকে (Distribution) অনুমোদন করে। যেমনঃ ইন্টারনেট।

৪. উপাত্ত (Data): ‘জিআইএস’-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটা হতে পারে স্থান-সংক্রান্ত (Spatial) এবং অ-স্থানিক (Non-Spatial)। যেমনঃ রাস্তার নাম, অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ইত্যাদি।

৫. নির্দিষ্ট দল/ গোষ্ঠী (People): সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান। যেমনঃ ‘জিআইএস’ ব্যবহারকারী (Users), প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ (Technical Specialists), গবেষক ইত্যাদি।

৬. পদ্ধতি (Procedures): ইহা অনেকটা ব্যবস্থাপনা দৃষ্টিভঙ্গি (Management Aspect) সম্পর্কিত। যেমনঃ সু-পরিকল্পিত ব্যবসা পরিকল্পনা এবং নিয়ম, তথ্য অর্জন (Acquisition)/ নিবেশ (Input)/ ধারণ (Storage)/ বিশ্লেষণ (Analysis) ইত্যাদি।

ছবি-৪: ‘জিআইএস’-এর উপাদানসমূহ

GIS-এর উপকারিতা

‘জিআইএস’-এর সুবিধাগুলো সাধারণত পাঁচটি মৌলিক বিভাগে বিভক্ত (উৎস-‘ESRI’):

১. খরচ সঞ্চয় এবং বর্ধিত কার্যকারিতা (Cost Savings and Increased Efficiency)

২. উত্তম সিদ্ধান্তগ্রহণ (Better Decision Making)

৩. উন্নত যোগাযোগ (Improved Communication)

৪. উত্তম নথি/ দলিল সংরক্ষণ (Better Recordkeeping)

৫. ভৌগোলিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা (Managing Geographically)

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘GIS’ প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

‘GIS’ শিখতে হলে সবার প্রথমেই আমাদেরকে জানতে হবে এর প্রয়োগসমূহ কি কি। ‘জিআইএস’ এর বাস্তবিক প্রয়োগ নিয়ে বলতে গেলে অসংখ্য উদাহরণ দেয়া সম্ভব। কিন্তু নিম্নে আমি ছোট পরিসরে কিছু উদাহরণ দিলামঃ

১. ভূমি পরিসংখ্যানপত্র (Land Inventory)

২. আদমশুমারি

৩. নগর পরিকল্পনা

৪. কৃষি (Agriculture) এবং অরণ্যবিদ্যা (Forestry)

৫. খনিজ তেল এবং গ্যাস উত্তোলন

৬. জন-উপযোগমূলক সেবা (Utilities)

৭. পরিবহন ব্যবস্থা (Transportation System)

৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (Disaster Management)

৯.  শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাত

১০. জলানুসন্ধান বিজ্ঞান (Hydrology)

এখন নিচের লিঙ্কে গিয়ে আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘জিআইএস’ এর কিছু প্রয়োগ দেখতে পারিঃ

** লিঙ্কে গিয়ে ‘Click to read’-এ ‘ক্লিক’ করুন। তারপর উপরের বামপাশের ‘Zoom’-এ গিয়ে পছন্দমত ‘ছোট’ বা ‘বড়’ করে পড়ুন। আরও অনেক সুবিধা আছে (Single Page), একটু অনুসন্ধান/ বিশ্লেষণ করলেই বুঝবেন।

বাংলাদেশে জিআইএসএর বাস্তবিক প্রয়োগ

এই মুহূর্তে উপরের লিঙ্কে ব্যবহিত ২৫ টি মানচিত্রের যথাযথ ব্যাখ্যা করা সম্ভব না হলেও, আমি ১ টির ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করব (পৃষ্ঠা-১১)।

ব্যাখ্যাঃ ‘ম্যালেরিয়া কবলিত জেলা’

এই মানচিত্র থেকে স্পষ্টতই দৃশ্যমান যে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ সর্বাধিক। আর কিছুটা প্রকোপ দেখা যাচ্ছে কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, সিলেট, মৌলভি-বাজার এবং কুড়িগ্রাম জেলায়। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা/ অঞ্চল ম্যালেরিয়া-মুক্ত।

এই ধরণের মানচিত্র থেকে খুব ভালভাবেই অবগত হওয়া যাচ্ছে, সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। আর আমরা এটাও জানি যে, পাহাড়ি অঞ্চলে মশার উপদ্রপও সবচেয়ে বেশি।

সব মিলিয়ে বলা সম্ভব, “পাহাড়ি অঞ্চলে মশার উপদ্রপ বেশি বিধায়, এইসব অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও অনেক বেশি”। সর্বোপরি বলা যায়, এই ধরণের ‘জিআইএস’ ভিত্তিক মানচিত্র নানাবিধ তথ্য খুব সহজ উপায়ে উপস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বর্তমানে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জিআইএস’ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আসলে ‘জিআইএস’-এর ব্যবহার এবং প্রয়োগ আরও অনেক অনেক বেশি বিস্তৃত। এই বিষয়ে আমরা ক্রমাগতভাবে আরও জানতে ও শিখতে চেষ্টা করব।

‘লেকচার-২’ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী লেকচারে ‘পৃথিবীর আকার-আকৃতি’ কিছু বলার চেষ্টা করব। তারপর শুরু হবে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ‘জিআইএস’ শেখার পালা।

স্বীকারোক্তি

এই লেকচার প্রস্তুত করতে গিয়ে অনেক প্রকাশিত বই, গবেষণা প্রবন্ধ এবং ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া হয়েছে। প্রচলিত প্রথানুযায়ী, সেইসব নাম উল্লেখ করা উচিত জেনেও তা করা হল না! কেননা “মাঝে মাঝে একটু রীতিবিরুদ্ধ থাকা মন্দ নয়”।

ধন্যবাদ, সবাই ভাল থাকবেন!

I hold the position of Associate Professor at the Department of Risk and Disaster Reduction (RDR) at University College London (UCL). My research experience spans across disaster risk reduction (DRR), conflict and migration, climate change adaptation, genocide diplomacy, community vulnerability assessment, climate mobility, and disaster displacement. I specialise in the intersection of conflict and disaster, with a vision to improve the quality of life of displaced persons and stateless populations. I am driven by a passion for collaborating with frontline communities, aiming to understand their challenges comprehensively and develop actionable policy recommendations to meet their specific needs. My academic journey led me to earn a PhD in Disaster Risk Reduction from UCL, a joint Master of Science degree in Geospatial Technologies from universities in Spain, Germany, and Portugal, and a Bachelor of Urban and Regional Planning degree from the Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET).

Leave a Reply